মোস্তাফিজে অনুপ্রা'ণিত শরিফুল
পঞ্চগড়ের প্রত্যন্ত এক গ্রাম মউমা'রি, যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি ২০১৫ সালেও। গ্রামে কারও কাছে রেডিও, টেলিভিশন নেই। থাকার কথাও ছিল না। কারণ বিদ্যুৎই পৌঁছায়নি সেই গ্রামে।তাতে কী', বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলা দেখা বাদ দিতেন না মউমা'রি গ্রামের কৃষকের সন্তান শরিফুল ইস'লাম।
২০১৫ সালে মউমা'রি বাজারে গিয়ে ভা'রতের বিপক্ষে মোস্তাফিজের আ'গুনঝরা বোলিং দেখেন শরিফুল। মোস্তাফিজের ভক্ত হয়ে যান তিনি। জাতীয় দলের কা'টার মাস্টারের মতো পেসার হওয়ার স্বপ্নটা তখনই উঁকি দেয় শরিফুলের মনে। জাতীয় দলে খেলার স্বপ্নে বিভোর হয়ে পড়েন।
সেই স্বপ্ন এবার বাস্তবে রূপ নিচ্ছে শরিফুলের। শনিবার ডাক পেয়েছেন জাতীয় দলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে অ'ভিষেক ঘটতে পারে এই তরুণ পেসারের।শরিফুল অবশ্য স্বপ্ন পূরণের সোপানে উঠেছিলেন গত বছরেই। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের তারকা ক্রিকেটার তিনি।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ের দিনটিতে আনন্দে ভেসেছিল মউমা'রি বাজার। শনিবার এমনই খুশির ব'ন্যায় ভাসল মউমা'রি বাজার। শরিফুলের বাবা কৃষক দুলাল মিয়া বাজারজুড়ে মিষ্টি বিলিয়েছেন ছে'লে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছে সেই খুশিতে। গোটা মউমা'রিতে এ প্রাপ্তির আনন্দে উৎসবের বাতাস বইছে এখনও।
আনন্দে আত্মহারা দুলাল মিয়া গণমাধ্যমকে নিজের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে খুব ভালো লাগছে। এতটা খুশি এর আগে হইনি। খুশিতে আমি ভাষাহীন। আমি এখন শুধু সবাইকে মিষ্টি খাওয়াতে পারি। মউমা'রি বাজারের সবাই খুব খুশি। আমা'র ছে'লের জন্য সবাই দোয়া করছে।
আমি ছে'লের জন্য গর্ব অনুভব করছি। এখন একটিই দোয়া করি, শরিফুল এমন কিছু করুক, যাতে করে আমাদের গ্রামের মুখ উজ্জ্বল হয়।কথা বলার একসময় আপ্লুত কণ্ঠে দুলাল মিয়া বলেন, ‘আমি কৃষক মানুষ, ছে'লের স্বপ্ন পূরণ করা আমা'র জন্য কঠিন ছিল।
আমি শুধু তাকে সাহস দিতাম। আমা'র ছে'লেই একক চেষ্টায় আজ জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছে। আমি যতটুকু পারি করেছি। কিছু মানুষ সহযোগিতা করেছে। তাদের কাছে আম'রা কৃতজ্ঞ। তারা সহযোগিতা না করলে আমা'র ছে'লে হয়তো আজ জাতীয় দলে সুযোগ পেত না।