কোরআনের ভাষ্য অনুযায়ী ‘কেয়ামত’ অতি নিকটে

আল্লাহ্‌ মহান। এই সুন্দর দুনিয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ্‌। তিনিই আমাদের একমাত্র ভরসা। কেয়ামত কখন হবে তা একমাত্র “আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনই” জানেন তিনি ছাড়া আর কেউই তা জানে না। তবে কোরআনের ভাষ্য অনুযায়ী ‘কেয়ামত’ খুব বেশি দূরে নয়।

কেয়ামতের আগের সমাজ যেমন হবে:

যখন চরিত্র দুর্বল হবে, মা-বাবার প্রতি সন্তানের অবাধ্যতা বৃদ্ধি পাবে। অযোগ্য ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা অর্পণ করা হবে। মানুষের হাতে প্রচুর অর্থ-সম্পদ থাকবে। বিলাসিতা ও অ’পচয় বেড়ে যাবে।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘দাসি তার মনিবকে প্রসব করবে, তুমি দেখতে পাবে যাদের পায়ে জুতা এবং পরনে কাপড় নেই, নিঃস্ব ও বকরির রাখাল তারা উঁচু উঁচু প্রাসাদ তৈরিতে পরস্পর প্রতিযোগিতা করছে।’ (সহিহ মু’সলিম, হাদিস: ১)

কেয়ামত হওয়ার আগের বড় আলামত গুলো উল্লেখ করা হলোঃ

(১) ই’মাম মাহাদীর আগমনঃ ই’মাম মাহাদী আমাদের নবী হযরত মুহাম্ম’দ (সাঃ) এর বংশ হতে আগমন করবেন (ফাতিমা (রাঃ) বংশ হতে)। তিনি ইস’লামকে সমুন্নত করবেন।

(২) দাজ্জাল এর আগমনঃ ‘দাজ্জাল’ হবে এক চোখ বিশিষ্ট এবং আবির্ভুত হওয়ার পর দাজ্জাল ৪০ দিন (দুনিয়ার হিসাবে ১ বছর, ২ মাস, ১৪ দিন) দুনিয়াতে থাকবে। সে একমাত্র ম’দিনা ছাড়া দুনিয়ার সব শহড় প্রদক্ষিন করবে। ব্যাপক মানুষ এই সময় দাজ্জালকে খোদা স্বীকার করে ঈ’মান হারা হয়ে ‘জাহান্নামে’ যাবে। দুনিয়ার সমস্ত ফিতনা হতে দাজ্জালের ফিতনা হবে সবচেয়ে ভ’য়াবহ।

(৩) ভয়াবহ আ’গুন বের হবেঃ ইয়েমেনের একটি স্থান থেকে ভয়াবহ আ’গুন বের হবে এবং এই আ’গুন মানুষদের হাকিয়ে শ্যাম দেশে (সিরিয়া, ফিলিস্তীন, লেবানন, জর্ডান অঞ্চল) একত্রিত করবে।

আল্লাহ তাআলা মু’সলিম উম্মাহকে ‘কেয়ামতের’ ভয়াবহতা থেকে মুক্তিদান করুন আমিন।

Related Articles

Back to top button