বাড়িওয়ালী জোর করে খদ্দেরের কাছে পাঠায়, ১৪ তরুণী দিলেন ভয়াবহ বর্ণনা

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া পতিতাপল্লী থেকে পাচার হয়ে আসা ১৪ জন কিশোরীকে উদ্ধার করেছে জেলা পুলিশ। মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে একটি তালাবদ্ধ ঘর থেকে ১৪ কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া কিশোরীরা গতকাল বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাদের ওপর হওয়া নির্মমতার চিত্র প্রকাশ করেন এবং তারা জেলা পুলিশের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এমএম শাকিলুজ্জামান বলেন, গোপন সংবাদে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীর নাজমা বাড়িওয়ালীর একটি তালাবদ্ধ ঘর থেকে ওই সব কিশোরীকে গোয়ালন্দ থানা পুলিশের সদস্যরা উদ্ধার করেছেন। উদ্ধার কিশোরীদের নাম ও পরিচয় গোপন রেখে স্ব-স্ব পরিবারের কাছে পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা তারা করবেন।

তিনি আরো বলেন, পাচারকারীরা কৌশলে এসব কিশোরীদের ফাঁদে ফেলে দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীতে এনে বিক্রি করে। আর ক্রেতা বাড়িওয়ালী চালায় এ কিশোরীদের ওপর চালায় নির্মম নির্যাতন। এমনি পরিবেশ থেকে এই ১৪ জনকে তারা মুক্ত করতে পেরেছেন। তাদের এই কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে।

উদ্ধার হওয়া তরুণীরা জানান, নাজমা নামের ওই বাড়িওয়ালী তাদেরকে জোর করে খদ্দেরের কাছে পাঠায়। অনেক অনুরোধ করেও তারা নাজমার হাত থেকে বাঁচতে পারেননি। কাজ করতে না চাইলে নাজমা তাদের মারধরও করেছেন। উদ্ধার হওয়া তরুণীরা পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।

সংবাদ সম্মেলনে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সালাউদ্দিন, ডিআইও ওয়ান সাইদুর রহমান, গোয়ালন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল তায়েবীর, রাজবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার, ডিআইও টু প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাসসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

Related Articles

Back to top button