কাঁচা রসুন এর স্বাস্থ্য উপকারিতা জানলে আপনি অবাক হবেন
রসুন ছাড়া যেন আমাদের একদিনও চলে না । তবে নিরামিষ ভুজিদের হিসেবটা একটু আলাদা। কেননা রান্নায় তরকারির স্বাদযুক্ত করতে রসুনের তুলানা হয় না। এই সুঘ্রাণের কারনে যে কোন সবজি, মাংস ও মাছ রান্নায় রসুন অপরিহার্য।
ভারতীয় উপমহাদেশে রান্নায় রসুন আদিকাল হতে ব্যবহার হয়ে আসছে। এছাড়াও পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও রসুন রান্নায় ব্যাপকহারে ব্যবহৃত হয়। রসুনকে অনেকে বলে থাকেন প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক! কেননা কাঁচা কিংবা রান্নায় যে রসুন খাওয়া হয় তা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে থাকে।
প্রাচীনকাল হতে ভেষজ চিকিৎসায় কাঁচা রসুন সেবনের একটি রীতি প্রচলিত। এছাড়াও নানা দেশেও এই রসুন ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। রসুনে রয়েছে সালফারভিত্তিক যৌক অ্যালিসিন যা, রোগ নিরাময়ে শক্তিশালি ওষুধ হিসেবে কাজ করে থাকে। কাঁচা রসুন নিয়মিত চিবিয়ে খেলে শরীরের ব্যাকটেরিয়া এবং ফাঙ্গাশ প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি করে থাকে।
জ্বর-সদির্তে: অনেক সময় প্রায়িই আমরা জ্বর সদিতে পড়ে যাই। এ সময় রসুন হতে পারে এর মহাষৌধ। শরীর হতে জ্বর-সদির্ ও ঠাণ্ডা দূর করতে হলে প্রতিদিন ২/৩ কোয়া কাঁচা রসুন কয়েকদিন নিয়মিত করুন। অনেকেরই রসুন গন্ধ সহ্য হয় না, তারা রসুনের সাথে মধু ও আদা মিশিয়ে খেতে পারেন এতে গন্ধ কিছুটা কম লাগবে। এভাবে সেবন করলে আপনার জ্বর সদির্ সেরে যাবে।
হার্ট অ্যাটাক হতে বাঁচতে: কয়েকটি কাঁচ রসুনের কোয়া প্রতিদিন খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কামাতে সহায়তা করে, উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তে সুগারের মাত্রা ঠিক রাখতে দারুন কার্যকর। কেননা রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন নামক যৌগ উপাদান। যা আপনার হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করে থাকে। তবে সেদ্ধ বা রান্না করা রসুনের চেয়ে কাঁচা রসুন খাওয়া অদিক উপকারি।
ক্ষত সারিয়ে তুলতে: কাঠ বা বাঁশ বা অন্য কোন কিছু দিয়ে শরীরের কোন স্থানে কাটা গেলে বা ক্ষত সৃষ্টি হলে, সেখানে রসুনের কোয়া বেটে লাগিয়ে দিলে উপকার পাওয়া যায়। সেই সাথে শরীরের ক্ষত স্থানে ব্যান্ডেজ করে দিতে হবে। দেখবেন কয়েক দিনের মধ্যে ক্ষত সেরে যাবে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে: নিয়মিতভাবে কাঁচা বা সেদ্ধ রসুন খেলে পাকস্থলী ও কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়। গবেষণায় প্রমাণিতে যে, নিয়মি রসুন খেলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা কয়েকগুণ কমে যায়।
রক্ত পরিস্কার: আপনি যদি প্রতিদিন সকালে খালিপেটে দু কোয়া রসুন ১ গ্লাস গরম জলের দিয়ে সেবন করেন এবং সারাদিনে যদি প্রচুর পরিমাণে জল পান করেন তাহলে আপনার শরীর হতে দূষিত রক্ত দূর হয়ে যাবে। আর যদি আপনি ওজন কামতে চান তাহলে এই রসুন জলের সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন ব্যস কাজ শেষ!