রাজিবের স্ত্রী-সন্তানেরা এখন কেমন আছেন

বাংলা চলচ্চিত্রের এক অনবদ্য খল অভিনেতার নাম রাজিব। অভিনয়গুণ তো ছিলোই সঙ্গে আরও ছিলো গম্ভীর ঝাঁজালো কণ্ঠ, রহস্যভরা চোখের চাহনি, বৈচিত্র্যময় অভিব্যক্তি।
এইসব বৈশিষ্টের কারণেই রাজিব খল নায়ক হয়েও দর্শকদের কাছে হয়ে উঠেছিলেন পছন্দের তারকা। তার পুরো নাম ওয়াসীমুল বারী রাজীব। অভিনয়ের স্বীকৃতি স্বরুপ চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
২০০৪ সালে মাত্র ৫২ বছর বয়সে এই অভিনেতা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এ অভিনেতা চিরবিদায়ের ১৫ বছর পার হলো আজ। তিনি প্রায় চার শতাধিক বাংলা চলচিত্রে অভিনয় করেছেন। খলনায়ক হিসেবে সফল হলেও অনেক চলচ্চিত্রে ভিন্ন চরিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি। খল অভিনেতা হলেও নিজেকে নিয়ে গিয়েছিলেন দর্শকপ্রিয়তার তুঙ্গে।
তাই নিজ কর্মগুণেই মৃত্যুর এতো বছর পরও ভক্তদের হৃদয়ে বেঁচে আছেন তিনি। এখনও দর্শকদের কাছে রাজিবকে নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই।রাজিবের মৃত্যুবার্ষিকীতে তার পরিবার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা হয়েছিলো। তার এক আত্মীয়ের বরাতে জানা গেলো বর্তমানে রাজিবের পরিবার যেমন আছে।
জানা গেলো, রাজিবের পরিবার হওয়াতে গর্ব করেন তারা। সন্তানরাও রাজিবের সন্তান হিসেবে গর্ব করেই বলেন। কিন্তু রাজিব সন্তানদের সিনেমা নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই। চলচ্চিত্রের মানুষদের সঙ্গে খুব একটা যোগাযোগ নেই তাদের। সব রকমের আলোচনা ও প্রচারণা থেকে নিজেদের দূরেই রাখতে চান।
বর্তমানে রাজধানীর উত্তরাতেই বাস করেন রাজীবের পরিবার। সেখানে নিজেদের বাসাতেই থাকেন তারা। রাজীবের স্ত্রী ইশমত আরা রাজীব। সংসার আর ধর্ম কর্মেই কেটে যায় তার দিন। ১৯৯৬ সালে এক হৃদয় বিদারক জল দুর্ঘটনায় নৌকা ডুবে মৃত্যুবরণ করেন অভিনেতা রাজীবের দুই পুত্র। এরপর রাজীব-ইশমতের দাম্পত্য আলোয় ভরিয়ে রেখেছেন এক পুত্র ও দুই কন্যা।
রাজীবের বড় ছেলে দ্বীপ। বিয়ে করেছন বহুজাতিক শিল্প প্রতিষ্ঠানের এক মালিকের কন্যাকে। দ্বীপের ছোট দুই বোন। তারা হলেন রানিসা ও রাইসা। দুজনেই পড়াশোনা করছেন দেশের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি দক্ষিণের জেলা পটুয়াখালীর দুমকিতে জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৪ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত মৃত্যুবরণ করেন। তাকে উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরে সিটি করপোরেশনের কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।