সৌরভের সঙ্গে বিয়ের পরের দিনই খুলে ফেললেন শাঁখা-পলা

মরশুমের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিয়ের হাওয়া লেগেছে টলিপাড়াতেও। একের পর সেলেব পড়ছেন সাত পাকে বাঁধা। আর সেই তালিকা থেকে বাদ নেই অভিনেত্রী ত্বরিতা চট্টোপাধ্যায়ও। সম্প্রতি গাঁটছড়া বাঁধলেন তারকা জুটি অভিনেত্রী ত্বরিতা চট্টোপাধ্যায় এবং অভিনেতা সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু বিয়ে হতে না হতেই ত্বরিতার হাতে নেই শাঁখা পলা।গৌরব চট্টোপাধ্যায় ও দেবলীনা কুমারের বিয়ের পর উত্তম কুমারের বাড়িতে ফের লেগেছিল বিয়ের আমেজ। কারণ তরুণ কুমারের নাতি সৌরভের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন ত্বরিতা। লাল টুকটুকে বেনারসি, ভারী গয়না, মাথায় শোলার মুকুট, কপালে চন্দনের উলকিতে বিয়ের সাজে সেজে ছিলেন ত্বরিতা।
বর সৌরভও পুরোদস্তুর সাবেকি পোশাক ধুতি-পাঞ্জাবিতে সজে ছিলেন। তারকা জুটির বিয়ের অনুষ্ঠানে জমায়েত ঘটেছিল টলিপাড়ার তাবড় তাবড় তারকাদের। কিন্তু একি হলো বিয়ের কদিন কাটতে না হাতে নেই শাঁখা পলা কিন্তু কেন? আসল ব্যাপার হলো অভিনেত্রীর বিয়ের পরপরই তাকে এক বন্ধুর বিয়েতে লক্ষ্য করা যায়।
কিন্তু সেখানে ত্বরিতার নব বধূর সাজ লক্ষ্য করা যায় না। ট্র্যাডিশনাল শাড়ি পরলেও তবে ত্বরিতার হাতে শাঁখা-পলা-নোয়া দেখা যায়নি। হিন্দু বাড়ির বৌ হয়েও বিয়ের পরের দিনই হাত থেকে শাঁখা-পলা-নোয়া কেনও খুলেছেন অভিনেত্রী তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় চাপানউতোর। যদিও অভিনেত্রীর কপালে কিন্তু ছিল সিঁদুর।
তবে, তাতে কি সমালোচকরা সমালোচনা সুযোগ পেলে তা কি আর ছাড়ে? শাঁখা-পলা-নোয়া খুলে ফেলায় সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই কটূক্তি করেন ত্বরিতাকে। যদিও ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নয় অভিনেত্রী। ত্বরিতাও একটি পোস্টে লেখেন, ‘আমার ফ্রেন্ড লিস্টে থাকা সকলের উদ্দেশ্যে বলা, প্লিজ কেউ শাঁখা-পলা-সিঁদুর নিয়ে জ্ঞান দেবেন না। আমি আবার এত জ্ঞানী হতে চাই না, গুণী হলেই চলবে’।