পালিয়ে বিয়ে করার পরও যে কারণে ৫০ কোটি টাকা দিয়ে স্ত্রী’কে তালাক দিয়েছিল আমির খান

তিনি বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট। চরিত্রকে সিনেমা’র পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে একদমই কোনো আ’পো’ষ করেন না তিনি। নিজেকে গড়ে তুলেন সে অনুযায়ী; যখন যে চরিত্রে কাজ করেন। এসব পরিশ্রম আর স্বভাবই তাকে আলা’দা করে রেখেছে হিন্দি সিনেমা’র বাজারে।
বলছি আমির খানের কথা। তার সিনেমা মানেই বাড়তি আগ্রহ দর্শকের। ব্যক্তি জীবনেও দারুণ মা’র্জিত ও ব্যক্তিত্ববান তিনি। অ’ভিনয় ক্যারিয়ারে তিনি পথ চলছেন সাফল্যের লাল গালিচায়। সেই আমির খানও ব্য’র্থ’তা রয়েছে। তবে ব্যক্তি জীবনে। ভালোবেসে ঘর ছেড়ে বিয়ে করেছিলেন পা’লি’য়ে। অথচ সেই সংসারটি ধরে রাখতে পারেননি তিনি। বেশ সুখেই সংসার করছিলেন তিনি রীনা দত্তকে নিয়ে।
সেই সুখের ঘরে হঠাৎ দুঃ’খের আ’গুন জ্ব’লে উঠেছিলো। আ’গুন নে’ভানো যায়নি। পু’ড়ে ছাই হয়েছে বিশ্বা’স ও ভালোবাসা। যার ফলে বি’চ্ছে’দের পথেই হাঁ’টতে হয়েছিলো ‘পিকে’ তারকাকে। আনন্দবাজার ডিজিটাল বলছে, আমির খানদের ঠিক পাশের বাড়ির মে’য়ে ছিলেন রীনা দত্ত। ছোট থেকেই একসঙ্গে বড় হয়ে ওঠা তাদের। এক সময়ে একে অ’পরের প্রে’মে মশগুল ছিলেন তারা। পরিবারের বিপক্ষে গিয়ে বাড়ি থেকে পা’লিয়ে বিয়েও করেন।
মূলত ভিন্ন ধ’র্মের হওয়ার জন্যই প্রথমে তাদের বিয়েতে আপ’ত্তি জানায় আমিরের পরিবার। পরে অবশ্য দুই পরিবারই তাদের মেনে নিয়েছিল। জুনাইদ এবং ই’রা নামে দুই সন্তানের জন্ম দেন রীনা। আমিরও ক্যারিয়ারে উন্নতি করতে শুরু করেন স্ত্রী’র ভালোবাসার স্রোতে। ১৯৮৬ সালে ১৮ এপ্রিল রীনার সঙ্গে আমিরের বিয়ে হয়। ২০০২ সালে তাদের বি’চ্ছে’দ। ৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে বিবাহবি’চ্ছে’দে রাজি হন দু’জন। সে সময় বলিউডের অন্যতম দামি ডি’ভো’র্স ছিল এটিই।
তবে তাদের বি’চ্ছে’দ নিয়ে কোনো অ’প্রী’তি’কর ঘটনা সামনে আসেনি। বরং আমির আজও প্রা’ক্তন স্ত্রী’ রীনাকে যথেষ্ট সম্মান দিয়েই কথা বলেন। রীনার কথাবার্তাতেও আমিরের প্রতি সম্মান প্রকাশ পায়। তাহলে কেন তাদের বি’চ্ছে’দ হল? জানা যায় অ’ভিনেত্রী প্রীতি জিনতার সঙ্গে আমিরের সম্প’র্ক নিয়ে চর্চা শুরু হয়। রীনার কানে সেই খবর পৌঁছালে স’ম্পর্কে কিছু জ’টি’লতা তৈরি হয়। জ’টিলতা বাড়তে দেননি কেউই। আমির এবং রীনা দু’জনেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমাধান করে ফে’লেছিলেন।
পরে ‘লগন’ সিনেমা’র শু’টিংয়ের সময় কিরণ রাওয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় আমিরের। কিরণ ছিলেন ওই সিনেমা’র সহকারী পরিচালক। কিরণের সঙ্গে আমিরের খুব ভাল বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল।তত দিনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রীনার সঙ্গে তার দাম্পত্য ক’ল’হ লেগেই থাকত। তার উপর কিরণের সঙ্গে ঘ’নি’ষ্ঠতাও মানতে পারতেন না রীনা।
শেষে ২০০২ সালে দু’জনে ডি’ভো’র্সের সিদ্ধান্ত নেন।ডি’ভো’র্সের পর কিরণের স’ঙ্গে আমিরের ঘনি’ষ্ঠতা আরও বাড়তে থাকে এবং ২০০৫ সালে তাকে বিয়ে করেন আমির। তবে প্রাক্তন স্ত্রী’ রীনাকে আজও তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অ’ঙ্গ বলে মনে করেন তিনি। কিরণের স’ঙ্গেও রীনার সম্প’র্কের সমীকরণ একেবারে আলাদা।