এবার নির্বাচনের মাঠে অভিনেতা ডিপজল!

সাভারে পৌর নির্বাচনের মাঠে দেখা গেল অভিনেতা, নির্মাতা ও প্রযোজক মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে। প্রচারণার শেষ দিনে তিনি আবারও মাঠে নামলেন। তবে প্রার্থী হিসেবে নয়, প্রয়াত বন্ধুর প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে তাঁর বাবার নির্বাচনি প্রচারণায়।

ডিপজলের প্রিয় বন্ধু আলহাজ আমিনুর রহমান আমিন ছিলেন সাভার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।পবিত্র হজ করতে গিয়ে ২০১৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বরের মক্কার মিনায় শ’য়তানকে পা’থর নি’ক্ষেপ করার সময় পদদ’লিত হয়ে অন্য অনেকের সঙ্গে মা’রা যান কাউন্সিলর আমিনুর রহমান আমিন ও তাঁর স্ত্রী আলেমা বেগম। পরবর্তীতে ছেলের জনপ্রিয়তায় স্থানীয়দের অনুরোধে কাউন্সিলর পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন আমিনের বাবা আলহাজ আব্দুস সাত্তার।

সেই থেকে আমিন পরিবারের সুখে-দুঃখে সঙ্গেই রয়েছেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনোয়ার হোসেন ডিপজল। সর্বশেষ গত ২০ ডিসেম্বর সাভার সরকারি কলেজে স্থাপিত রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিলের দিনে কাউন্সিল প্রার্থী হাজি আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে ছিলেন ডিপজল।

অভিনেতা ডিপজল জানান, প্রয়াত বন্ধু আমিনুর রহমানের বড় ছেলে আতিকুর রহমান আসিফের অনুরোধে তাঁকে শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় নামতে হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ বোধ করছিলেন। শরীর সায় না দিলেও শুধু মনের টানে বন্ধুর ছেলের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে পারেননি তিনি।

আজ বিকেলে সাভারের কর্ণপাড়ায় পৌরসভার নির্বাচনে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আলহাজ আব্দুস সাত্তারের জন্য উট মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে কাউন্সিলর হিসেবে আব্দুস সাত্তারকে পুনরায় নির্বাচিত করার আহ্বান জানিয়ে শুভার্থী, কর্মী, ভক্ত এবং এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে ডিপজল বলেন, ‘প্রিয় এলাকাবাসী। আমার শরীরটা ভালো না।

আপনারা কেউ কোনো উ’স্কানির ফাঁ’দে পা দেবেন না। কেউ কোনো ঝগড়াঝাটিতে যাবেন না।’ মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলহাজ আব্দুল গনিকে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আলহাজ আব্দুস সাত্তারকে কাউন্সিলর হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত আহ্বান জানান এই অভিনেতা।

ডিপজলের আগমনের খবর ছড়িয়ে পড়লে অসংখ্য মানুষ তাঁকে একনজর দেখতে ছুটে আসেন। তাঁর মুখের কথা শোনার জন্য অধীর অপেক্ষা করেন। কিন্তু এই অভিনেতা স্বাস্থ্যবিধির কথা ভেবে গণজমায়েতকে বেশি দীর্ঘায়িত করেননি।

Related Articles

Back to top button