কমেডির রাজা দিলদারের জন্মদিন আজ

চলচ্চিত্রের পর্দায় আনন্দ ফেরি করেছেন তিনি। তার অভিনয় দেখে দুঃখ ভুলেছেন কোটি কোটি দর্শক। বলছি, বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী কৌতুক অভিনেতা দিলদারের কথা। মৃত্যুর পর এই অভিনেতা আজও যেন জীবন্ত হয়ে আছেন সবার হৃদয়ে।

২০০৩ সালের ১৩ জুলাই এই কমেডি সুপারস্টার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এরপর দিলদার অভিনীত ছবিগুলো সিনেমা হলে কিংবা টেলিভিশনের পর্দায় যখনই প্রচার হয় দর্শকরা তাকে নিয়ে আফসোস করেন। দিলদার গেলেন, তার মতো কেউ আর আসেননি।আজ ১৩ জানুয়ারি, এই নন্দিত অভিনেতার জন্মদিন। ১৯৪৫ সালের ১৩ জানুয়ারি চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন দিলদার। তিনি এসএসসি পাস করার পর পড়াশোনার ইতি টানেন।

‘কেন এমন হয়’ নামের চলচ্চিত্র দিয়ে ১৯৭২ সালে অভিনয় জীবন শুরু করেন দিলদার। দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারে উপহার দিয়েছেন ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ ‘বিক্ষোভ’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘কন্যাদান’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘শুধু তুমি’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘অজান্তে’, ‘প্রিয়জন’, ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’, ‘নাচনেওয়ালী’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় সব চলচ্চিত্রে।

দিলদার এতটাই জনপ্রিয় ছিলেন যে তাকে নায়ক করে নির্মাণ করা হয়েছিল ‘আব্দুল্লাহ’ নামে একটি চলচ্চিত্র। সুপারহিট হয়েছিল সেই ছবিও। তার বিপরীতে নায়িকা ছিলেন নূতন। দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল ছবিতে ঠাঁই পাওয়া গানগুলো।

সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে ২০০৩ সালে ‘তুমি শুধু আমার’ চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও লাভ করেন তিনি। দিলদারের স্ত্রী রোকেয়া বেগম। এই দম্পতির দুই কন্যা সন্তান। বড় মেয়ের নাম মাসুমা আক্তার। ছোট মেয়ে জিনিয়া আফরোজ।

যে মানুষটা সিনেমার প্রাণ হয়ে ছিলেন, দর্শকদের বসিয়ে রেখেছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা আনন্দ-কৌতুকে সেই মানুষটার জন্মদিন চলে যায় আজ নিরবে নিভৃতে। তবুও কেউ কেউ মনে রাখে। বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে দিলদারের নাম। চাইলেই দিলদারের মতো অভিনেতাকে ভোলা যায় না।

Related Articles

Back to top button