ডিভো’র্সের পর স্বামীকে শবনম ফারিয়া ফেসবুক স্ট্যাটাস, ফাঁ’শ হল আসল কারণ
বন্ধুত্ব, প্রে’ম, বিয়ে এবং প্রায় দুই বছরের সংসার জীবনের অবসান ঘটালেন শবনম ফারিয়া ও হারুন অর রশীদ অ’পু। বাংলা ট্রিবিউন-এ খবরটি প্রকাশের পর শনিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এই বিচ্ছেদ নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন শবনম ফারিয়া। সেটি হুবহু তুলে ধ’রা হলো-
মানুষের জীবন নদীর মতো। কখনও জোয়ার, কখনও ভাটা। কখনও বৃষ্টিতে পানি বেড়ে যায়, শীতকালে পানি শুকিয়ে যায়। আমাদের জীবনেও এমনটা হয়!আমাদের জীবনে কিছু মানুষ আসে; কেউ কেউ স্থায়ী হয়, কেউ কেউ কিছু কারণে স্থায়িত্ব ধরে রাখতে পারে না!আমা’র (শবনম ফারিয়া) মা সব সময় একটা কথা বলে, ‘আল্লাহর হুকুম ছাড়া একটা গাছের পাতাও নড়ে না, আম’রা শুধু চেষ্টা করতে পারি!’
ঠিক সেভাবেই আমি আর অ’পু অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করেছি একসাথে থাকতে। কিন্তু বিষয়টা একটা পর্যায়ে খুব কঠিন হয়ে যায়! ‘মানুষ কী'’ বলবে’ ভেবে নিজেদের ওপর একটু বেশিই টর্চার করে ফেলছিলাম আম’রা। ‘জীবনটা অনেক ছোট, এতো ক’ষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকার কি দরকার?’ এইটা ভেবে আম’রা এ বছরের শুরু থেকেই সিদ্ধান্তে আসি আম’রা আর একসাথে থেকে ক’ষ্টে থাকতে চাই না।
তাও বছর খানেক সময় নিয়েছি পরস্পরকে বুঝতে। ফাইনালি ‘আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যেই করেন’ ভেবে আম’রা আমাদের প্রায় আড়াই বছরের বৈবাহিক জীবনের অবসান ঘটিয়ে আবারও ৫ বছরের পুরানো বন্ধুত্বে ফিরে গিয়েছি।বিবাহে বিচ্ছেদ হয়, কিন্তু ভালবাসার বিচ্ছেদ নেই! বন্ধুত্বের বিচ্ছেদ নেই! যতদিন বেঁচে আছি আমাদের ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব থাকবে!
শুধুমাত্র বৈবাহিক বন্ধন থেকে আমাদের স’ম্পর্কের ইতি টেনে নিলাম। এ ঘটনা আমাদের জীবনের গতি হয়তো রোধ করবে, ছন্দপতন করবে কিন্তু জীবন তো থেমে থাকবে না। অ’পুর জন্যে আমা’র অনেক অনেক দোয়া, ভালবাসা আর শুভ কামনা। আম’রা যে সুখের জন্যে আলাদা হলাম আম’রা যেন সে সুখ খুঁজে পাই। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
দয়া করে ‘মিডিয়ার বিয়ে টেকে না’ ধরণের কথা বলে আমাদের জন্যে আমাদের সহকর্মীদের ছোট করবেন না। আম’রা সম্পূর্ণ ‘পারিবারিক কারণে’, পারিবারিকভাবে, পারিবারিক সম্মতিতেই বিয়ের মতো ইন্সটিটিউশন থেকে বের হয়ে এসেছি।
আমাদের কখনও ভালবাসা কিংবা বিশ্বা’সের অভাব ছিল না, হবেও না! আর আমা’র প্রিয় সাংবাদিক ভাই/বোনদের উদ্দেশ্যে একটাই অনুরোধ, দয়া করে একটু মানবিকতার সাথে বিষয়টা দেখবেন! প্লিজ!
দুজন মানুষের বিবাহ বিচ্ছেদ মানে, দুইটা পরিবারের বিচ্ছেদ, অনেক স্মৃ’তির বিচ্ছেদ! অনেক ভালো সময়ের সাথে বিচ্ছেদ, এইটা কারও জন্য সুখকর অনুভূতি না। দয়া করে মুখরোচক অদ্ভুত সংবাদ প্রকাশ করে আমাদের আর বিব্রত করবেন না।
আম’রা একে অন্যের ওপর সম্পূর্ণ সম্মান বজায় রাখতে চাই!