সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃ’ত্যু’শো’ক কাটতে না কাটতেই আরেক বাঙালির মহাপ্রয়াণ!
নিয়তির এই ভাগ্যের প-রি-হা-সে যারা এই পৃথিবীতে জন্ম নেয় তাদের একদিন না একদিন পৃথিবী ছেড়ে আবার চলে যেতে হয় । কেউ আগে যায় কেউ পড়ে । কিন্তু মানুষ চলে যাওয়ার পর থেকে যায় তার করে যাওয়া কাজ-গু’-লি যা আমা’দেরকে প্রতিনিয়ত ভাবিয়ে তোলে তাদের স'ম্পর্কে।
আমা’দের মনে তারা থেকে যায় জীবিত শুধুমাত্র তাদের কাজ গু’-লি-র জন্য । ঠিক সেরকমই বাঙালির গর্ব তথা দেশের গর্ব কবি অলোকরঞ্জন দাশগু”প্ত ের কথা আম'র’া সকলে জানি। অলোকরঞ্জন দাশগু”প্ত জন্ম ৬ অক্টোবর, ১৯৩৩ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন । তারপর বিশ্বভা'রতী ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তিনি পড়াশোনা শেষ করেন ।
তার ২০ টির বেশিও কাব্যগ্রন্থ আছে । তাছাড়া তিনি বিভিন্ন নাট'ক এবং কবিতা যা সাঁওতালি ও বাংলা ভাষায় লেখা সে-গু’-লি-কে ইংরেজি এবং জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেছেন । পেয়েছেন সফলতা। জীবনে এসেছে জনপ্রিয়তা। আম'র’া আগেই বলেছিলাম বাঙালি কখনো থেমে থাকার পাত্র নয় ।
শুধুমাত্র দেশে নয় দেশের বাইরে রয়েছে তার প্রভাব। এত গু’ণ সম্পন্ন প্রতিভাবান বাঙালি কবি অলক রঞ্জন দাসগু”প্ত অবশেষে শেষ নিঃশ্বা’স ত্যা-গ করেন জার্মানিতে । মৃ’-ত্যু-কা-লে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর । তিনি তার কাব্যগ্রন্থ এবং কবিতা ও নাট'কের জন্য পেয়েছেন বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন ।
তার মধ্যে রয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুধা বসু সম্মান (১৯৮৩), আনন্দ পুরস্কার (১৯৮৫), প্রবাসী ভা'রতীয় সম্মান (১৯৮৫), রবীন্দ্র পুরস্কার (১৯৮৭)। কাব্যগ্রন্থ ম'র’মী করাতের জন্য ১৯৯২ সালে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পান অলোকরঞ্জন। ওই বইয়ের জন্য ২০০৫ সালে তিনি আবার প্রবাসী ভা'রতীয় সম্মান পান । তবে ১৯৯৩ সালে ” ম'র’মী করাত ” কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার পান ।
তিনি ভা'রতবর্ষকে এবং সমগ্র বাঙালি জাতিকে তুলে ধরেছে বিশ্বদরবারে । অবশেষে সেই এক যুগের অবসান ঘটল । তার মৃ’-ত্যু-তে গভীর শো-কা-হ-ত দেশবাসী। এই বছর আমা’দের কাছ থেকে কে-ড়ে নিচ্ছে আমা’দের প্রিয়জনদের প্রথম সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় তারপর কবি অলক রঞ্জন দাসগু”প্ত মত পরপর দুজন নক্ষত্র প-ত-ন এ রীতিমতো শো-কা-হ-ত গোটা দেশ ।