ডিজিটাল প্রশিক্ষণে সরাসরি অংশ নেবেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরাসরি প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ডিজিটাল স্মার্ট ক্লাসরুমে পাঠদান বিষয়ক রিফ্রেশার প্রশিক্ষণে সরাসরি অংশ নেবেন ৫০৯ জন শিক্ষক।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে।উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সোমবারের (১৮ জানুয়ারি) অফিস আদেশটি মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) প্রকাশিত হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, ডিজিটাল প্রাথমিক শিক্ষা প্রকল্পের আওতায় নির্বাচিত ৫০৯টি বিদ্যালয়ের ডিজিটাল স্মার্ট ক্লাসরুমে আধুনিক ডিজিটাইলাইজড পদ্ধতিতে পাঠদানের লক্ষ্যে সরকার নির্দেশিত সকল স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন সাপেক্ষে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নির্বাচিত প্রশিক্ষক ও শিক্ষকদের ৪২তম ব্যাচের রিফ্রেশার প্রশিক্ষণে সশরীরে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
সব প্রাথমিক শিক্ষক পাবেন ১৩তম গ্রেড : দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত সকল সহকারী শিক্ষকই ১৩তম গ্রেড পাবেন। এক্ষেত্রে শিক্ষকদের একাডেমিক যোগ্যতার কোনো মানদণ্ড লাগবে না। শিগগিরই অর্থ বিভাগ থেকে স্পষ্টীকরণ চিঠি ইস্যু করা হবে। ফলে গ্রেড পেতে শিক্ষকদের আর হয়রানি হতে হবে না। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘সব শিক্ষকই ১৩তম গ্রেড পাবেন। শর্তে স্নাতক ডিগ্রি/অভিজ্ঞতা বলা রয়েছে। ২০১৯ সালের নিয়োগবিধি অনুযায়ী যারা প্রথমবারের মতো নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের স্নাতক না হলে ১৩তম গ্রেড পাবেন না। কিন্তু ২০১৯ সালের নিয়োগবিধি জারির আগে যেসব শিক্ষক নিয়োগ বিধিতে নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে এই শর্ত প্রযোজ্য নয়।’
তিনি আরো বলেন, আমি অর্থ বিভাগের সঙ্গে কথা বলেছি। এটা আগেই জারি হওয়ার কথা ছিল। আমি অর্থ বিভাগকে বলেছি একটি স্পষ্টীকরণ চিঠি দেয়ার জন্য।প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের নতুন নিয়োগ বিধিমালায় সহকারী শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতায় বলা আছে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে।
এ কারণে কোনো কোনো উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা উচ্চতর গ্রেড দেয়ার সুপারিশ না করে শিক্ষকদের জানিয়ে দিচ্ছেন, যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক নেই, তারা উচ্চতর গ্রেড পাবেন না।অথচ ২০১৯ সালের নতুন বিধিমালা তৈরি হলেও এখন পর্যন্ত ওই বিধিমালার আলোকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ হয়নি।
এদিকে ২০১৯ সালের নতুন বিধিমালার ‘রহিত ও হেফাজত’ সংক্রান্ত বিষয়ে ১০ ধারার ১ উপধারায় বলা হয়, ‘এই বিধিমালা কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৩ এতদ্বারা রহিত হইবে’। আর ২ উপধারায় বলা হয়, ‘উপরোক্ত রহিতকরণ সত্ত্বেও উক্ত বিধিমালার অধীন
যে সকল কার্যক্রম নিষ্পন্ন হইয়াছে তাহা এই বিধিমালার অধীন সম্পন্ন হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং এই বিধিমালা জারি তারিখে অনিষ্পন্ন কার্যাদি, যতদূর সম্ভব, এই বিধিমালার অধীন নিষ্পন্ন করিতে হইবে।’ফলে ২০১৯ সালের নিয়োগবিধির আগে যে যোগ্যতার শিক্ষকই নিয়োগ দেয়া হোক না কেন নতুন বিধিমালার অধীনে তা বৈধ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন বলেন, ‘আমাদের অনেক আগেই উচ্চতর গ্রেড দেয়া হয়েছে। কিন্তু সফটওয়্যার জটিলতার কারণে আজ পর্যন্ত শিক্ষকদের বেতন ফিক্সেশন করা যাচ্ছে না। কিন্তু একটি মহল ১৩তম গ্রেড নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে। আমি সব শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই ১৩তম গ্রেড সকল শিক্ষকই পাবেন।