শিক্ষকদের কঠোর হুঁ’শিয়ারি
৫০ শতাংশ কার্যকর চাকরি কালের ভিত্তিতে শিক্ষকদের টাইম’স্কেল বহাল ও ৩ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ স’মিতি। দাবি” আদায় না হলে আমরণ অ’নশনের হুঁশিয়ারি করেন তারা।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মু’ ‘আকরাম খাঁ হলে সমিতিটি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব দাবি ও হুঁশিয়ারির কথা জানানো হয়।””সংবাদ সম্মেলন সমিতিটির মহাসচিব মো. মুনছুর আলী বলেন, ‘শিক্ষাই জাতির মে’রুদণ্ড’ এবং তার মূল ভিত্তি হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা। এই বাস্তবতা অনুধাবন করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ ‘মুজি’বুর রহমান ‘যুদ্ধ বিধ্ব’স্ত দেশে দুর্বল অর্থনৈতিক অবস্থার মধ্যেও ১৯৭৩ সালে প্রায় ৩৭ হাজার বেস’রকারি প্রাথ’মিক বিদ্যালয় ও কর্মরত শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ করেছিলেন।
তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে অবহেলিত শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি শিক্ষক মহাসমাবেশে ঘোষণার মাধ্যমে ২৬১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কর্মরত ১০৪৭৭২ জন শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণ করেন। এ কারণে শিক্ষক ও তাদের পরিবারের মাঝে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন কর্তৃপক্ষ অধিগ্রহণকৃত প্রাথমিক শিক্ষকদের (চাকরি শর্তাদি নির্ধারণ) বিধিমালা এস.আর.ও নং ৩১৫ আইন ২০১৩ প্রণয়ন করে গেজেট প্রকাশ করেন। সেই আলোকে ২০১৪ সালের জুন মাস থেকে শিক্ষকদের বেতন ভাতা, টাইম স্কেলসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধাদি আজ পর্যন্ত প্রদান করে আসছেন।
তিনি আরো বলেন, কিন্তু আকস্মিকভাবে বিধিমালার ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ৮ বছর পর অর্থ মন্ত্রণালয় ২০২০ সালের আগস্ট মাসে একটি পরিপত্র জারি করে। যার ফলে টাইমস্কেল বাতিল করে অর্থ ফেরত নেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করে। বরং এতে করে প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষক ও তাদের পরিবারের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি করা হয়েছে। এছাড়া জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষকগণ জেষ্ঠ্যতা, পদোন্নতি ও টাইমস্কেল থেকে সম্পূর্ণভাবে বঞ্চিত হচ্ছে।
তাদের দাবিগুলো হচ্ছে— ২০২০ সালের আগস্ট মাসে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রটি প্রত্যাহার করে ৫০ শতাংশ কার্যকর চাকরিকালের ভিত্তিতে টাইমস্কেল বহাল রাখা; ৫০ শতাংশ কার্যকর চাকরিকালের ভিত্তিতে শিক্ষকদের জেষ্ঠ্যতা ও পদোন্নতি প্রদান করা এবং অধিগ্রহণ করা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এসএমসি তৈরি করা প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগে পাওয়া প্রধান শিক্ষকদের নাম গেজেট থেকে বাদ পড়ায়, সেটি গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করা।
এসব দাবি আগামী ২২ জানুয়ারির মধ্যে আদায় না হলে আগামী ২৪ জানুয়ারি সকল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। একইসঙ্গে ঢাকায় অবস্থান ও আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করা হবে।