দেরিতে ভর্তি পরীক্ষা হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা
করোনাভাইরাসের কারণে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল করেছে সরকার। এর পরিবর্তে জেএসসি-এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল গড় করে এইচএসসির ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
তবে গতমাসের শেষ পর্যায়ে এ ফলাফল প্রকাশের কথা বলা হলেও এখনও তা দিতে পারেনি শিক্ষা বোর্ডগুলো। সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে এইচএসসির ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এভাবে এইচএসসির ফলাফল আটকে থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রতিবছর সাধারণত আগস্ট থেকেই ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হয়। তবে গত বছরের ভর্তি পরীক্ষা করোনার কারণে এখনো শুরু করা যায়নি। এইচএসসি পরীক্ষা ও ফলাফল নিয়ে জটিলতা থাকায় চলতি জানুয়ারি মাসেও পরীক্ষা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে আগামী মার্চ থেকে ভর্তি পরীক্ষা শুরু করা সম্ভব হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন। সেক্ষেত্রে প্রায় এক বছর পর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েরি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। এতে ভর্তির আগেই সেশনজটে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের।
এদিকে দেশের বাকি সব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারলেও এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি চার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটে, রুয়েট, কুয়েট ও চুয়েট। মূলত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে একমত হতে না পারায় এ জটিলতা দেখা দিয়েছে। শিগগিরই সিদ্ধান্ত না হলে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আরও পিছিয়ে যেতে পারেন বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। তবে দেরিতে ভর্তি পরীক্ষা হলেও শিক্ষার্থীরা তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না বলে দাবি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর।
এ বিষয়ে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম শেখ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা হয়ে গেলেও সাধারণত ফেব্রুয়ারির দিকে ক্লাস শুরু হয়। এবার করোনাভাইরাসের কারণে হয়তো দু’একমাস দেরি হতে পারে। এতে শিক্ষার্থীরা তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। যে সময়টা জ্ঞাপ পড়বে, সেটা আমরা পুষিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবো।’
তিনি বলেন, ‘বুয়েট আমাদেরকে যে প্রস্তাব দিয়েছে তাতে আমরা একমত নই। তারপরও আমরা তাদের জন্য অপেক্ষা করছি। যদি সমঝোতা হয় তাহলে, বুয়েটসহ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা হবে। অন্যথায় রুয়েট, কুয়েট ও চুয়েট আলাদা গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নেবে। আমরা ইতোমধ্যে ইউজিসির সঙ্গে একটি বৈঠক করেছি। সেখানে চার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় মিলে আলোচনা করেছি। তবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। শিগগিরই আমরা আরও একটি বৈঠকে বসব। আশা করি, একটি সমাধানে আসা যাবে।