পরীক্ষা গ্রহণেরদা’বিতে জাবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) স্নাতক চতুর্থ বর্ষের সমাপনী পরীক্ষার সময়সূচী প্রকাশ না করলে আগামী ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রশাসনিক ভবন অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন ৪৫তম আবর্তনের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আমিরুল ইস'লাম সুজন বলেন, ইতিপূর্বে আম'রা স্নাতক চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা গ্রহণেরদা’বিতে মানববন্ধন ও উপাচার্যকে স্মা'রকলিপি দিয়েছি। আজ আম'রা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিলাম। অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভা'রপ্রাপ্ত) আমাদের প্রতিনিধিদের আলোচনার জন্য ডাকেন।
আলোচনায় রেজিস্ট্রার (ভা'রপ্রাপ্ত) রহিমা কানিজ বলেন, শিক্ষার্থীদের স্মা'রকলিপির পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য একটি প্রশাসনিক সভা ডেকে আলোচনা করেছেন। পরীক্ষা গ্রহণের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। এখন একটি বিভাগীয় সভাপতিদের সভা, একটি ডিনস কমিটির বৈঠক, একাডেমিক কাউন্সিলের সভা এবং সিন্ডিকেট সভা হলেই আম'রা পরীক্ষার সময়সূচী প্রকাশ করতে পারবো।
রেজিস্ট্রারের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, আগামী ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে যদি সুনির্দিষ্ট বক্তব্য না পেলে পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করতে বাধ্য হবেন তারা। এ মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান অ'বৈধ উল্লেখ করে রেজিস্ট্রার বলেন, ক্যাম্পাসে যেকোনো ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ। তাই তোম'রা এ ধরনের কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারবে না।
এর আগে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। অবস্থান কর্মসূচিতে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। অবস্থান কর্মসূচিতে দর্শন সংসদের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইস'লাম রিহান বলেন, জাবি প্রশাসন ট্রাফিকের মতো আচরণ করছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে শিক্ষার্থীদের পার করে দিচ্ছে সেখানে আমা'র প্রশাসনের ট্রাফিক জ্যামে আ'ট'কে আছি।
তিনি বলেন, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা হয়ে গেছে। করো'নার মধ্যেও আ'ট'কে থাকা চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণের সময়সূচী প্রকাশ করেছে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু জাবি প্রশাসনের এ ব্যাপারে কোনো মা'থাব্যথা আছে বলে মনে হচ্ছে না।
সেশন জটের কারণে আম'রা ৪১তম বিসিএসে আবেদন করতে পারিনি। এখন ৪৩ তম বিসিএসেরও সার্কুলার হয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের পরীক্ষা শেষ করার কোনো উদ্যোগ নেই। তাই আর সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার সময়সূচী প্রকাশ করতে হবে।