যে কারনে দুবাই গেলেন সোবহান পরিবারের সদস্যরা

সুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের স্ত্রী-স’ন্তানসহ পরিবারের ৮ সদস্য দুবাই পৌঁছেছেন। শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৮ মিনিটে তাদের বহনকারী বিমান ভিপিসি-১১ দুবাইয়ের ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৫৬ মিনিটে তারা দেশ ছাড়েন। আনভীরের বি’রুদ্ধে মা’মলা হওয়ার তিন দিনের মা’থায় তারা দেশ ছাড়লেন। দুবাই তাদের প্রাথমিক গন্তব্য বলে জানা গেছে।সোবহান পরিবার কবে দেশে ফিরবে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। তবে সূত্র জানায়, প্লেনটি মে মাসের ৯ তারিখ পর্যন্ত ভাড়া করা হয়েছে।

বেসামরিক বিমান চলাচল ক’র্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, সায়েম সোবহান আনভীর পরিবারের পক্ষ থেকে দেশের বাইরে যাওয়ার আবেদন করে একটি চার্টার্ড ফ্লাইটের অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল।আবেদনে তারা ২৭ এপ্রিল দেশত্যা’গের কথা বলেছিলেন। মা’মলা সংক্রান্ত জ’টিলতার কারণে অ’নুমোদনের সিদ্ধান্ত স্থগিত ছিল।

তবে (বৃহস্পতিবার) তাদের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটের অনুমোদন দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ইমিগ্রেশনকে জানিয়ে দেওয়া হয় যাদের দেশত্যা’গে নি’ষেধাজ্ঞা নেই কেবল তারাই ওই ফ্লাইটে যেতে পারবেন। বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, চার্টার্ড ফ্লাইটটিতে দেশ ছেড়েছেন সায়েম সোবহান আনভীরের স্ত্রী সাবরিনা সোবহান,তাদের দুই স’ন্তান, ছোট ভাই সাফওয়ান সোবহানের স্ত্রী ইয়াশা সোবহান, তাদের মেয়ে ও পরিবারের তিনজন গৃহকর্মী ডায়ানা হার্নানডেজ চাকানান্দো, মোহাম্মদ কাদের মীর ও হোসনে আরা খাতুন।

সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে সিঙ্গাপুর থেকে তাদের ভাড়া করা একটি প্লেন ঢাকায় আসে। পরে ভিপিসি-১১ ফ্লাইটে রাত ৮টা ৫৬ মিনিটে ঢাকা থেকে উড়ে যান তারা। রাত ৮টায় তারা বিমানবন্দরে পৌঁছে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা সারেন। দুবাইয়ে গিয়ে তাদের সবার ক’রোনাভা’ইরাসের টিকা নেয়ার কথা রয়েছে। এর আগে গত ২৬ এপ্রিল মোসারাত জাহান মুনিয়াকে প্র’রোচনার অ’ভিযোগে সায়েম সোবহান আনভীরের বি’রুদ্ধে মা’মলা হয়। গত ২৭ এপ্রিল আ’দালত তার বিদেশযাত্রার ওপর নি’ষেধাজ্ঞা জা’রি করেন। ইমিগ্রেশন পু’লিশের ত’থ্য অনুযায়ী সায়েম সোবহান আনভীর এখনও দেশে রয়েছেন

এদিকে মুনিয়ার বড় ভাই আশিকুর রহমান সবুজ বলেন, মুনিয়া ঢাকায় এসে একটি না’রী হোস্টেলে থাকত। মুনিয়ার একাধিক আত্মীয় বলেন, এ সময় তার বড় বোন নুসরাতের উৎসাহে ও জনৈক হিরু মিয়ার মাধ্যমে শোবিজ জগতে যাতায়াত শুরু হয় মুনিয়ার। তার স’ঙ্গে প’রিচয় হয় সিনেমার একজন পরিচিত নায়কের। এছাড়া একজন পরিচালক তাকে নায়িকা বানানোর স্বপ্ন দেখিয়ে ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবে নিয়ে যান। তবে মুনিয়ার ভাই সবুজ দা’বি করেন, শুরু থেকেই এসব অ’পছন্দ করতেন তিনি। কুমিল্লায় একটি আয়ুর্বেদিক কোম্পানিতে সেলসম্যানের চাকরি করা সবুজ জানতেন না মুনিয়া কোথায় থাকে, কী করে।

এমনকি তার মৃ’ত্যুর খ’বরও শুরুতে সবুজকে দেওয়া হয়নি বলে দা’বি করেন তিনি। তিনি জানতে পারেন প’রিচিতজনের মাধ্যমে। পরে তিনি নুসরাতকে ফোন দেন বিস্তারিত জানার জন্য। সবুজ বলেন, ওই সময়ও নুসরাত অনেক ত’থ্যই গো’পন করে আমার কাছে। সবুজ বলেন, ‘আমাদের পৈতৃক সম্পত্তির সমান ভাগ নিয়ে নুসরাত আমি, আমার চাচা, চাচিসহ কয়েকজনকে আ’সামি করে মা’মলা করে। মা’মলার কারণে স্বাভাবিকভাবেই নুসরাত ও মুনিয়ার স’ঙ্গে আমার দূরত্ব তৈরি হয়।

ওই মা’মলা এখনো শে’ষ হয়নি। তবে স’মাধানের চে’ষ্টা চলছে।’ মুনিয়া নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় শুভপুরের নিলয় নামে এক যুবকের স’ঙ্গে পা’লানোর বিষয়ে জানতে চাইলে সবুজ বলেন, ‘তখন মুনিয়ার বয়স ছিল কম। সে আবেগে পড়ে ভু’ল করেছে। আমরা পরে সামাজিকভাবে সেটার স’মাধান করেছি।’ সবুজ জানান, তার বাবা মু’ক্তিযো’দ্ধা শফিকুল ইস’লাম মা’রা যান ২০১৫ সালে আর মা মা’রা যান ২০১৯ সালে। এরপর থেকে মুনিয়া সম্পূর্ণভাবে নুসরাত ও তার স্বামীর নিয়’ন্ত্রণে ছিল।

ছোট বোনের এ প’রিণতির জন্য সবুজ নিজেও তার বোন নুসরাত ও তার স্বামীকে দা’য়ী করেন। সুবজ বলেন, ‘সেলিম চাচা আমাদের পরিবারের অভিভাবক। ছোট চাচা সাজ্জাদ অ’সুস্থ। আমরা যা করার সেলিম চাচার পরামর্শেই করব।’ মুনিয়ার আ’ত্মীয়রা বলছেন,বাবা-মার মৃ’ত্যুর পর এই বোন-ভগ্নিপতিই ছিলেন মুনিয়ার একমাত্র অভিভাবক। টাকার লো’ভে তারা মুনিয়ার জীবন কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন সেটা একবার জানারও চে’ষ্টা করেননি।

Related Articles

Back to top button