আনুশকা ঘ’টনার ৪ দিন না যেতেই চা’ঞ্চল্যকর ত’থ্য ফাঁ’স

৪ দিন না যেতেই চা’ঞ্চল্যকর ত’থ্য ফাঁ’স-কলাবাগানের ডলফিন গলির ফারদিনের বাসা থেকে হা’সপাতালে নে’য়ার প’থেই মা’রা যা’য় আনুশকা নূর আমিন। আনুশকার মৃ’ত্যুর প’রপরই হ’তবিহ্বল হয়ে প’ড়ে অ’ভিযুক্ত ফা’রদিন ইফতেখার দিহান। হা’সপাতালে যাও’য়ার পরেই

আ’নুশকার মৃ’তদে’হ রে’খে পা’লাতে চে’য়েছিল সে। কিন্তু স’ময় এবং সুযোগ কো’নোটাই পায়নি। ত’তক্ষণে পু’লিশ তার তি’ন বন্ধুসহ চা’রজনকে আ’টক ক’রে। গত শুক্রবার আ’দালতে ১৬৪ ধা’রায় জ’বানবন্দিতে ঘ’টনার আ’দ্যোপান্ত ব’র্ণনা দি’য়েছে ফারদিন। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট

মামুনুর র’শীদ তার জ’বানবন্দি রে’কর্ড ক’রেন। পরে মা’মলার প’রবর্তী শু’নানির জন্য আগামী ২৬শে জানুয়ারি দিন ধা’র্য ক’রেছেন আ’দালত। জ’বানবন্দি গ্র’হণ শেষে আ’দালত তা’কে কা’রাগারে পা’ঠানোর আ’দেশ দেন। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জ’বানবন্দিতে ফা’রদিনের দে’য়া ত’থ্যমতে ইনস্ট্রাগ্রামের মা’ধ্যমে তাদের গত দুই থেকে তিন মাস আ’গে প’রিচয় হয়।

সূত্র জানায়, ডলফিন গলির বাসায় ফারদিন, তার বড় ভাই, গ্রামের দূর সম্পর্কের এক চাচাতো ভাই থাকেন। এবং তার বাবা আরেক ভাইকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি রাজশাহীতে থাকেন। তিনি অ’বসরপ্রাপ্ত জেলা রেজিস্ট্রার। ফারদিনের নানা অসুস্থ হওয়ায় ঘটনার দিন তার মা নানাকে দেখতে ব’গুড়ায় যান। তাই আগের দিন মুঠোফোন ম্যাসেঞ্জারে চ্যাট করার সময় ফারদিন আনুশকাকে জানায় তার বাসা খালি থাকবে।

চাইলে সে আসতে পারে। ফারদিন জানিয়েছে, আনুশকা বেলা সাড়ে ১১টায় তার মা’কে ফারদিনের বাসায় যাওয়ার কথা জানিয়ে বাসা থেকে বে’রিয়ে যায়। এ সময় তিনি আনুশকাকে দুপুরের খাবার কিনে দেয়ার কথা বললেও তারা নেয়নি। পরবর্তীতে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের মেট্রো শপিংমলের কাছ থেকে আনুশকাকে সঙ্গে নিয়ে ফারদিন কলাবাগান মোড়ে লাজফার্মার কাছে রেখে সে একা বাসায় প্রবেশ করে।

এ সময় আনুশকাকে জানায়, বা’সায় ঢুকে ফোন দিলে সে যেন বাসায় যায়। আ’নুশকা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সে ভাবেই ফারদিনদের ফাঁ’কা ফ্ল্যা’টে কোনো প্র’কার বাধা ছা’ড়াই প্র’বেশ করে। আ’নুশকার স’ঙ্গে তার দৈ’হিক স’ম্পর্কের পরিকল্পনা আগে থে’কেই করে রে’খেছিলো ফা’রদিন। কিন্তু আ’নুশকা জানতো তারা বাসায় গিয়ে কি’ছুক্ষণ গল্প করে প’রবর্তীতে রা’জধানীর আগারগাঁওয়ে ফা’রদিনের ভোটার আইডি

কার্ড সং’শোধন করতে যাবে। কিন্তু বাসায় যাওয়ার পরে কথা বলার এক পর্যায়ে ফারদিন আনুশকার স’ঙ্গে শারী’রিক স’ম্পর্ক ক’রে। দৈ’হিক সম্প’র্কের এক পর্যায়ে আ’নুশকার অ’তিমাত্রায় ভ্যা’জাইনাল ব্ল্যা’ড ‘ফ্লো” শু’রু হয়। এ সময় ফারদিন আ’নুশকাকে বা’থরুম থেকে ফ্রে’শ হয়ে আ’সতে বলে। আনুশকা বা’থরুমে যাওয়ার আগেই খা’টের উপর প’ড়ে যা’য়। এ সময় প্রথমে ফা’রদিন ভে’বেছিলো আ’নুশকা ভ’য় পে’য়েছে। পর’বর্তীতে কা’ছে গিয়ে দে’খতে পায় আ’নুশকার শ্বা’সকষ্ট শু’রু হ’য়েছে। এবং দাঁ’ত লে’গে গে’ছে।

এ সময় ফারদিন কি করবে বুঝতে না পেরে দ্রুত তাদের ব্য’ক্তিগত গা’ড়িতে তুলে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যায়। নেয়ার পথেই গা’ড়িতে মা’রা যায় আ’নুশকা। ফা’রদিনের আ’ত্মবিশ্বাস ছিল সে আ’নুশকাকে বাঁ’চাতে পারবে। তাই সে পা’লায়নি। এবং প’রবর্তীতে য’খন জানতে পারে আ’নুশকা আর বেঁ’চে নেই এ সময় সে পা’লাতে চাই’লেও পা’লানোর সু’যোগ পা’য়নি। হাসপাতালে

আ’সার পথেই ফা’রদিন আ’নুশকার মা এবং ওর বা’ন্ধবীকে ফোন করে জা’নায় আ’নুশকা চে’তনা হা’রিয়ে ফে’লেছে। এবং তার তিন বন্ধুকে জানায় যে, ফারদিন নি’জেই অ’সুস্থ, তাই হাস’পাতালে আ’সতে হবে। পরবর্তীতে কৌ’শলে হাসপাতালের রে’জিস্ট্রার খাতায় আ’নুশকার বয়স ১৭-এর প’রিবর্তে ১৯ লে’খায়। বন্ধুরা হাস’পাতালে এসে দেখে ফা’রদিন মে’ঝেতে বসে আছে। ত’তক্ষণে তারা জে’নে যায় আ’নুশকা আ’র বেঁ’চে নে’ই।

সূত্র জা’নায়, হাসপাতাল ক’র্তৃপক্ষ য’খন বু’ঝতে পারে আ’নুশকা আর বেঁ’চে নে’ই ত’খন স’ঙ্গে স’ঙ্গে তারা স্থা’নীয় ক’লাবাগান থানা পু’লিশকে জা’নায়। হা’সপাতালের কা’ছে থাকা টহল পু’লিশ গি’য়ে ফা’রদিনসহ সং’শ্লিষ্ট স’কলকে আ’টক ক’রে। প’রবর্তীতে জি’জ্ঞাসাবাদে ঘ’টনার সঙ্গে স’রাসরি সং’শ্লিষ্ট না পে’য়ে তার তিন বন্ধুকে সা’ময়িকভাবে ছে’ড়ে দে’য় পু’লিশ। ঘ’টনাস্থল থে’কে পু’লিশের অ’পরাধ ত’দন্ত বি’ভাগ একটি সাদা কু’শান বা’লিশ (পিলো) এবং চা’দরসহ আ’নুষঙ্গিক অ’নেক আ’লামত জ’ব্দ করে। চা’দরের কিছু অং’শ এবং কু’শানটি সম্পূ’র্ণ র’ক্তে ভে’জা ছিল।

মা’মলার ত’দন্ত কর্মকর্তা এবং ক’লাবাগান থা’নার পুলি’শ পরি’দর্শক (নি’রস্ত্র) আ ফ ম আসাদুজ্জামান ও পরিদর্শক (অ’পারেশন) ঠাকুর দা’স মালো বলেন, ম’য়নাতদন্ত শে’ষে ফ’রেনসিক বি’ভাগের দে’য়া ত’থ্যানুযায়ী নি’ম্নাঙ্গ ও পা’য়ুপথে আ’ঘাত এবং র’ক্তক্ষ’রণে’র চিহ্ন দে’খা গে’ছে। বি’কৃত যৌ’নাচা’রের কা’রণে আর অ’তিরিক্ত র’ক্তক্ষ”রণে মৃ’ত্যু হ’য়েছে আ’নুশকার- এ’মনটি জা’না গেছে। চে’তনানা’শক কো’নো কিছু খাও’য়ানো হ’য়েছিল কি-না সে’জন্য ন’মুনা সং’গ্রহ ক’রা হ’য়েছে।

Related Articles

Back to top button